
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে কওমি মাদ্রাসা খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বুধবার সচিবালয়ে কওমি মাদ্রাসার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা শরিফ মাহমুদ সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে প্রায় পাঁচ মাস ধরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো কওমি, হাফেজিসহ সব মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কয়েক দফা স্বরাষ্টমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেছেন কওমি শিক্ষাবোর্ডের প্রতিনিধিরা। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল বৈঠক করেন।
কওমি বোর্ড বেফাকুল মাদ্রাসিল আরাবিয়ার (বেফাক) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, মাহমুদুল হাসান বৈঠকে বলেন, কওমি মাদ্রাসাগুলোতে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষায় সম্মিলিত দোয়া হয়। মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় এ ইবাদত বন্ধ রয়েছে। দেড় বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা থেকে ঝরে পড়ছে। অনেক শিক্ষার্থী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে। এ বিবেচনায় মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া জরুরি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার এখতিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেই। তবে আলেমদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত হিফজ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে কওমি মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খোলার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৈঠকে অংশ নেন বেফাক সহ-সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, ফরিদাবাদ মাদরাসা মুহতামিম শায়খুল হাদিস আবদুল কুদ্দুস, মুফতি নুরুল আমিন, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ প্রমুখ।