
> যেভাবে ছড়ায়ঃ
• এ ভাইরাস কোন প্রাণী থেকে মানুষের দেহে ঢুকে;
• এখন মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হচ্ছে;
• করােনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়; এবং
• শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে (হাঁচি/কাশি/কফ/থুথু) অথবা
• আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়।
> লক্ষণসমূহঃ
• ভাইরাস শরীরে ঢােকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় ২-১৪ দিন সময় লাগে;
• বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণ জ্বর;
• এছাড়া শুকনাে কাশি ও গলা ব্যাথা হতে পারে;
• শ্বাসকষ্ট/নিউমােনিয়া দেখা দিতে পারে;
• অন্যান্য অসুস্থতা (ডায়াবেটিস/উচ্চ রক্ত চাপ/শ্বাসকষ্টহৃদরােগ/কিডনী সম্যসা/ক্যান্সার ইত্যাদি) থাকলে অরগ্যান
ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে।
> প্রতিকারঃ
• যেহেতু এই ভাইরাসটি নতুন, তাই এর কোন টিকা/ভ্যাকসিন এখনাে তৈরি হয়নি;
• চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক।
> প্রতিরােধে করণীয়ঃ
ব্যক্তিগত সচেতনতা
• ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড যাবৎ); v অপরিস্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না; v ইতােমধ্যে আক্রান্ত এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে; V হাঁচি/কাশির সময় বাহু/টিস্যু/কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে; v অসুস্থ পশু-পাখির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে;
• মাছ-মাংস ভালােভাবে রান্না করে খেতে হবে; v অসুস্থ হলে ঘরে অবস্থান করতে হবে, বাইরে যাওয়া অত্যাবশ্যক হলে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার
করতে হবে;
• জরুরি প্রয়ােজন ব্যতিত বিদেশে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে; v প্রবাসী আত্মীয়স্বজনকে জরুরি প্রয়ােজন ছাড়া বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করতে হবে;
• প্রয়ােজন ছাড়া যেকোন জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে; এবং অত্যাবশ্যকীয় ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
> সন্দেহভাজন রােগীর ক্ষেত্রে করণীয়ঃ
• অসুস্থ রােগীকে ঘরে থাকতে হবে; v মারাত্মক অসুস্থ রােগীকে জরুরি ভিত্তিতে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে; V রােগীকে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে;
• রােগীর নাম, বয়স, যােগাযােগের জন্য পূর্ণ ঠিকানা ও মােবাইল নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে; এবং • আইইডিসিআর এর করােনা কন্ট্রোল রুমে (০১৭০০-৭০৫৭৩৭) যােগাযােগ করতে হবে।
শিক্ষার সকল খবর সবার আগে পেতে দৈনিক শিক্ষা পিডিয়ার ফেইসবুক পেইজের সাথে যুক্ত থাকুন।