Home পাঠক কর্ণার কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি স্বেচ্ছাসেবীরা

কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি স্বেচ্ছাসেবীরা

কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি স্বেচ্ছাসেবীরা

কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি স্বেচ্ছাসেবীরা

করোনা সংক্রমনের দিক দিয়ে পঞ্চম হটস্পট হচ্ছে কুমিল্লা। প্রতিদিনই শনাক্ত হচ্ছে নতুন রোগী দীর্ঘ হচ্ছে মৃতের সংখ্যাও। করোনাভাইরাসে মৃতদের দাফন সৎকার নিয়ে তৈরি হচ্ছে নানা সমস্যা। এ অবস্থায় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে এক হয়ে কাজ করছে যুবলীগ যুবদলের নেতাকর্মীরা। সব ধর্মের নিয়ম মেনেই মরদেহের দাফন ও সৎকার করছেন তারা।

নিজে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় করোনায় মারা যাওয়া মানুষের আশেপাশে যেতে চান না আপনজনেরা এমন চিত্র প্রায় সারা দেশেই। এই অবস্থায় মরদেহ দাফন সৎকারে সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কাজ করছেন অনেক স্বেচ্ছাসেবক। কুমিল্লাতে ও মাঠে নেমেছেন এমন স্বেচ্ছাসেবীরা।

আরো পড়ুন- কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা

একাধিক স্বেচ্ছাসেবীর এসব সদস্য ধর্ম ও রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে কাজ করছেন একসাথে। শহর কিংবা গ্রাম যেখানেই ও করোনায় মৃত্যুর খবর পেলেই ছুটে যাচ্ছেন তারা। এবং কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি স্বেচ্ছাসেবীরা।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন- কোন রাজনৈতিক নেতা কি করছে আমি কি করছি ও কি করছে কাউকে এইভাবে না দেখে আমি মনে করি যে সামাজিক কাজগুলা আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই দুর্যোগ থেকে আমাদের উত্তরণ করতে হবে আগে।

জেলার মুরাদনগর উপজেলার যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক রুহুল আমিন বলেন- কে কোন ধর্মের লোক হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান আমরা আসলে ওই দিক গুলি বিবেচনা করি না। সম্পূর্ণ মানবিক দিক বিবেচনা করে মানবিক চিন্তা চেতনা করে আমরা এই কাজগুলো করে যাচ্ছি।

এসব কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় নানান অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। তাতে থেমে না গিয়ে মানবিক কারণে এগিয়ে চলছেন তারা।

কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাউসার অনিক বলেন একটি মৃতদেহ গোসল করাতে গেলে মিনিমাম একটু গরম পানির প্রয়োজন হয়, গরম পানি করে দেওয়ার মত লোক আসলে আমরা পাইনা। 

মহানগর যুবলীগের আরেক সদস্য রোকন উদ্দিন রোকন বলেন আমরা একটি মহিলাকে দাফন করতে গিয়েছিলাম তখন দেখলাম যে তার মায়ের নাকফুল যখন খুলতে বলেছিলাম তার সন্তানদেরকে তারা বলল যে আপনারা যা খুশি তা করেন আমাদের এটাতে কোন বাধা নেই। আপনারাই করেন।

জীবনের ঝুঁকি নেওয়া এসকল স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশংসা করেন জেলা সিভিল সার্জন। জানালেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তারা মরদেহ দাফনের কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন আমাদের একটি কমিটি করা আছে। যে কমিটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কিভাবে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীকে দাফন করা হবে, কিভাবে পিপিএ পড়তে হয়, কিভাবে জানাজা করা হয় সুতরাং আমার ধারণা আমার যে কর্মী ভাইয়েরা কাজ করে যাচ্ছেন তারা অবশ্যই তা মেনে কাজ করছেন। তারাতো স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে করছেন। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন।

করোনায় সংক্রমনের রেড চিহ্নিত এই জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৮৫ জন। করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৮৭৩ জনের। সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

শিক্ষার সকল খবর পেতে Shikkhapedia.com এর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে যুক্ত থাকুন।

সবসময় রিয়েল টাইম নিউজফিড পেতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here