Home মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় কুবির ৪ শিক্ষককে ‘চোর’ বললেন রেজিস্ট্রার, শাস্তি চেয়ে আবেদন

কুবির ৪ শিক্ষককে ‘চোর’ বললেন রেজিস্ট্রার, শাস্তি চেয়ে আবেদন

কুবির ৪ শিক্ষককে ‘চোর’ বললেন রেজিস্ট্রার, শাস্তি চেয়ে আবেদন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) চারজন শিক্ষককে ‘চোর’ বলে সম্বোধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। গত শুক্রবার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রচারিত সংবাদে তার এমন একটি অডিও ক্লিপ প্রচার করা হয়। যেখানে মোবাইল কথোপকথনে তিনি চারজন শিক্ষককে ‘চার চোরা’ বলে সম্বোধন করেছেন বলে জানা যায়।

ঘটনার প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী চার শিক্ষক শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর কাছে করা আলাদা আলাদা আবেদনে বিচার চেয়েছেন। মন্তব্যের শিকার চারজন শিক্ষক হলেন, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এমদাদুল হক, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিয়া উদ্দিন, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া।উপাচার্যের কাছে করা আবেদনে ওই চার শিক্ষক জানান, শুক্রবার চ্যানেল২৪ এর একটি সংবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের কর্তৃক তাদেরকে চোর বলে সম্বোধন করার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়।

শিক্ষরা লিখেছেন, রেজিস্ট্রারের মতো দায়িত্বশীল পদে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে এরকম অশালীন সম্বোধন অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক। এতে তারা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং পেশাগতভাবে মারাত্মক অসম্মানের শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি এই ঘটনায় তারা মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। এরকম ঘটনার জন্য যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, ‘একজন শিক্ষক হয়ে অন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন কুরুচিপূর্ণ কথা আমি বলিনি। বলতে পারিও না। নিশ্চয়ই আমার বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. শামীমুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এই ব্যাপারটা সম্পর্কে এখনও সুস্পষ্টভাবে অবগত নই। চ্যানেল২৪-এ যে অডিও ক্লিপ প্রকাশ হয়েছে তা আদৌ সত্য কি না তাও জানি না। আর রেজিস্ট্রার স্যার কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন সেটাও আমি জানি না। তবে যদি স্যার এটা বলেই থাকেন, তাহলে শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে আমি বলতে চাই, এটা সত্যিই ন্যাক্কারজনক এবং প্রশাসন এ ব্যপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভড করেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here