
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মঘণ্টা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক নীতিনির্ধারণী ফোরাম শিক্ষা পরিষদ (একাডেমিক কাউন্সিল)৷ পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে থিসিস-মনোগ্রাফ (গবেষণা) বাধ্যতামূলক করা, বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাজে যুক্ত করা ও গবেষণার জন্য তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেছে শিক্ষা পরিষদ।
গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে শিক্ষা পরিষদের সভায় এসব সুপারিশ করেন একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা।
সুপারিশগুলো চলতি মাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হতে পারে।সভায় অংশ নেওয়া শিক্ষা পরিষদের একাধিক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকদের সপ্তাহে ৪০ কর্মঘণ্টার (সপ্তাহে ৫ দিন ৮ ঘণ্টা করে) বিধান আছে। শিক্ষা পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাষক সপ্তাহে ১৬ ঘণ্টা, সহকারী অধ্যাপক ১৪ ঘণ্টা, সহযোগী অধ্যাপক ১২ ঘণ্টা ও অধ্যাপকেরা ১০ ঘণ্টা করে ক্লাস নেবেন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি, খাতা মূল্যায়ন ও ফলাফল তৈরি অতিরিক্ত কাজ বলে গণ্য হবে। বিষয়ভিত্তিক যেসব বিশেষজ্ঞ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, তাঁদের তালিকা তৈরি করতে হবে। পরে বিভাগের কাজ, যেমন—পরীক্ষাপদ্ধতি, এমফিল ও পিএইচডি গবেষণায় পর্যবেক্ষক হিসেবে তাঁদের যুক্ত করতে হবে। বিভাগে বিভিন্ন বক্তৃতার আয়োজন করতে হবে।
শিক্ষা পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণমূলক কর্মসূচি আরও বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ ক্ষেত্রে গবেষণা কেন্দ্রগুলোর উদ্যোগে প্রশিক্ষণমূলক কর্মশালা আয়োজন করতে হবে। বিভাগের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রশিক্ষণমূলক কর্মশালার আয়োজন করবে, যা পরে গবেষণার তহবিল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া স্নাতকোত্তরে যেসব বিভাগে থিসিস বা মনোগ্রাফ নেই, সেখানে তা বাধ্যতামূলক করা হবে।
শিক্ষা পরিষদের এ সভায় অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল, অনুষদগুলোর ডিন, বিভাগগুলোর চেয়ারম্যান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।