Home প্রাথমিক শিক্ষা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে ৫ সিদ্ধান্ত

দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে ৫ সিদ্ধান্ত

দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে ৫ সিদ্ধান্ত

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও খোলার কথাও জানানো হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এই বৈঠক থেকে শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে-।

১. আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করোনার সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেখানে শিক্ষার্থীরা পারিবারিক পরিমণ্ডলে কোলাহলের মধ্যে থাকে, এই বিষয় বিবেচনায় নিয়ে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে কোনো একটি সংখ্যা বিবেচনা করা যায় কি না- সে বিষয়ে জাতীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শ চাওয়া হবে।

২. যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল রি-ওপেনিং প্ল্যান করে রেখেছে তারপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে এই রি-ওপেনিং প্ল্যান আগামী সাত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত করবে।

৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কি না- তার জন্য প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং সেল গঠন করবে এবং প্রতিদিন প্রতিবেদন তৈরি করবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে মনিটরিং প্রতিবেদন তৈরি করার একটি গাইডলাইন তৈরি করা হবে।

৪. বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাত দিনের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয় তাদের যে সমস্ত শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছে, টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে, টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেনি কিন্তু শিক্ষার্থীর এনআইডি আছে এবং যাদের এনআইডি নেই কিন্তু তাদের বয়স ১৮ পেরিয়ে গেছে তাদের একটি তালিকা প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে।

এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মো. মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবিরসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here