
পুরান ঢাকার কলতাবাজার এলাকায় বাসায় ফেরার পথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকের এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ওই ছাত্রী।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও সূত্রাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তকে দ্রুত শনাক্ত করে আটক এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ৪দফা দাবি পূরণে একটি স্মারকলিপি দেন তারা।
জানা যায়, ওই ছাত্রী লকডাউনের কারণে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় কবি নজরুল কলেজের পাশে উইনস্টন গলিতে প্রবেশ করলে নির্জন রাস্তার সুযোগে আক্রমণ করে এক যুবক। ছাত্রীর চিৎকারে মহানগর মহিলা কলেজের দিকে দৌড়ে পালায় সে। আশপাশে মানুষ থাকলেও কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ করেন ছাত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় যৌন হয়রানির মতো ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এটি আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চারটি দাবি করেছেন তারা।
দাবিগুলো হলো- রোববার রাতে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখতে হবে। অবিলম্বে ছাত্রী হল চালু করে সিট বরাদ্দ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ‘নিপীড়নবিরোধী সেল’ গঠন করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বিনামূল্যে আইনি সহযোগিতা দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে আমরা এ বিষয়ে জানিয়েছি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি টিম জড়িতকে খুঁজে পেতে সকাল থেকেই কাজ করছে। স্থানীয় কাউন্সিলরও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। আমরা তৎপর রয়েছি।
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ আমরা হাতে পেয়েছি। দ্রুত দোষীকে খুঁজে বের করা হবে। আমাদের পাঁচটি টিম কাজ করছে। এলাকার লোকাল সোর্সও কাজ করছে। আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টা দেখছি।