
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধিভুক্ত ‘ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্স’ এর অধ্যক্ষকে মারধর ও নগদ টাকাসহ অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে সহযোগীদের নিয়ে ওই অধ্যক্ষককে মারধরের এ অভিযোগ পাওয়া যায়।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াটাই দিকে নগরীর মাসকাটা দীঘি এলাকায় অবস্থিত ওই ইনস্টিটিউটে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই নগরীর মতিহার থানায় ভুক্তভোগী কলেজ অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে বুধবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানের পার্টনারদের মধ্যে ঝামেলা চলছে। এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে তদন্ত এবং বিবদমান পক্ষের ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এফএম আলী হায়দার ও নাটোরের সিংড়ার মুকুলের নেতৃত্বে আরও ৪-৫ জন বহিরাগত দুপুর আড়াইটার দিকে ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে চলমান পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রবেশ করে রেজুলেশন বহিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিনিয়ে নেন। এতে বাধা দিলে তারা ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের সমনেই অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমানকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মেরে জখম করেন। এসময় তারা অধ্যক্ষকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করাসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেন। আত্মরক্ষার্থে অধ্যক্ষ সেমিনার কক্ষের বাইরে গেলে আসামি মুকুলসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ আসামি আবারও অধ্যক্ষের ওপর চড়াও হয়। তারা অধ্যক্ষের জামার পকেটে এবং অফিস থেকে ইনস্টিটিউটের নগদ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় তারা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্যও শাসিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এফ এম আলী হায়দার ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, ‘পার্টনারশীপ নিয়ে ঝামেলা থেকে অধ্যক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে ঝামেলার বিষয়টি মিটমাট করে নেবো।’
এদিকে অধ্যক্ষের সরবরাহকৃত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই থেকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অধ্যাপক এফএম আলী হায়দারকে ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সের অবৈতনিক পরিচালক থাকার অনুমতি দিয়েছে। যার মেয়াদ ইতিমধ্যে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে বলেও জানান অধ্যক্ষ।