
ছাত্রছাত্রীদের জীবন বাঁচাতেই সরকার করোনা সংকটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। তাদের জীবন যদি না থাকে, তাহলে শিক্ষিত হয়ে কী হবে? তাই জীবন বাঁচাতেই সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেছেন। শনিবার আইডিইবি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল এডুকেশন দর্শন বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা ও দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন তিনি। এ সময় ‘সরকার ষড়যন্ত্র করে শিক্ষাব্যবস্থাকে পিছিয়ে দিচ্ছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে যাঁরা তাঁকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলেন, আজ তাঁরাই ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছেন। ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না। যাঁরা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের জীবনেও ঘটেছে রক্তাক্ত বিদায়ের ট্র্যাজেডি। হত্যা হত্যাকেই ডেকে আনে, হত্যা কাউকে ক্ষমা করে না।
করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন সংকটে সব রাজনৈতিক দলের একটাই রাজনীতি হওয়া উচিত, তা হলো মানুষকে বাঁচানো, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ওবায়দুল কাদের রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠনগুলোকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং টিকা গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা ও অসহাদের প্রতি মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।
palo-logoউচ্চশিক্ষাশিক্ষার্থীদের জীবনই যদি না থাকে, তাহলে কী হবে শিক্ষিত হয়ে: কাদেরবাসসঢাকাপ্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২১, ১৮: ৪১অ+অ-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরফাইল ছবিছাত্রছাত্রীদের জীবন বাঁচাতেই সরকার করোনা সংকটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। তাদের জীবন যদি না থাকে, তাহলে শিক্ষিত হয়ে কী হবে? তাই জীবন বাঁচাতেই সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেছেন। শনিবার আইডিইবি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল এডুকেশন দর্শন বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা ও দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন তিনি। এ সময় ‘সরকার ষড়যন্ত্র করে শিক্ষাব্যবস্থাকে পিছিয়ে দিচ্ছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।বিজ্ঞাপনসড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে যাঁরা তাঁকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলেন, আজ তাঁরাই ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছেন। ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না। যাঁরা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের জীবনেও ঘটেছে রক্তাক্ত বিদায়ের ট্র্যাজেডি। হত্যা হত্যাকেই ডেকে আনে, হত্যা কাউকে ক্ষমা করে না। করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন সংকটে সব রাজনৈতিক দলের একটাই রাজনীতি হওয়া উচিত, তা হলো মানুষকে বাঁচানো, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ওবায়দুল কাদের রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠনগুলোকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং টিকা গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা ও অসহায় মানুষের প্রতি মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।আরও পড়ুনএ মাসে দেওয়া টিকা ও সংক্রমণের ওপর নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাএ মাসে দেওয়া টিকা ও সংক্রমণের ওপর নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাবিজ্ঞাপন‘সরকার ষড়যন্ত্র করে শিক্ষাব্যবস্থাকে পিছিয়ে দিচ্ছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আগেও টিকা নিয়ে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজেছিল। ছাত্রছাত্রীদের জীবন বাঁচাতেই সরকার করোনার এ সংকটে বন্ধ রেখেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তাদের জীবন যদি না থাকে, তাহলে শিক্ষিত হয়ে কী হবে? তাই জীবন বাঁচাতেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, করোনাকালেও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি একটাই, তা হচ্ছে পালাক্রমে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার আর মিথ্যাচার করা। বিএনপির কৌশল হলো মায়াকান্না আর লিপ সার্ভিস।
অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে সরকার কোথায় কী অনিয়ম করছে, বিএনপিকে তা স্পষ্ট করে বলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সবকিছুতে ষড়যন্ত্র খোঁজা বিএনপির স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যে রূপ নিয়েছে।
অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে সরকার কোথায় কী অনিয়ম করছে, তা স্পষ্ট করে বলুন।’আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের উপযোগী জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, গড়ে তুলতে হবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল বিপ্লব এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি। তিনি বলেন, ‘করোনা–পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রশিক্ষিত জনবলের যে চাহিদা তৈরি হবে, সে চাহিদার বিপরীতে বাংলাদেশ যেন সর্বোচ্চ সুযোগ নিতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের এখনই ভাবতে হবে।’
আইডিইবির সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতা।