Home প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষা কর্মকর্তা হতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষকগণ

শিক্ষা কর্মকর্তা হতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষকগণ

শিক্ষা কর্মকর্তা হতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষকগণ

শিক্ষা কর্মকর্তা হতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষকগণ

সারাদেশের সহস্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদোন্নতি না পেয়েই অবসরে যেতে বাধ্য হয়ে হচ্ছেন। কারণ এতদিন পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ কম ছিলো। প্রধান শিক্ষক হিসেবে সহকারী শিক্ষকের ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং বাকি ৩৫ শতাংশ সরাসরি পিএসসির মাধ্যমে এখন নিয়োগ হচ্ছে। তবে এটিও বাস্তবায়ন হচ্ছে সামান্যই। এরই মধ্যে খুশির খবর পেল প্রাথমিকের শিক্ষকগণ।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের থেকে মোট ৪টি পদে পদোন্নতি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে। শিক্ষকগন ধাপে ধাপে সহকারী শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন। এরপর প্রশাসনিক দক্ষতা বিচারে তাদের উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে প্রস্তাব লিখিত আকারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

আরো পড়ুন- উন্নত বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থার ভিন্নতা

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ ৬ জুন এই সকল তথ্যাদি জানিয়েছেন ।

তিনি জানান, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য মেধাবীদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করতে কিছু উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। শিক্ষকতাকে আকর্ষণীয় রূপ দেয়ার জন্য পদোন্নতির সুযোগ রাখার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা চলছে। শিক্ষকদের শুধুমাত্র সহকারী প্রধান শিক্ষক কিংবা প্রধান শিক্ষক না বরং সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদেও শিক্ষকদের থেকে পদোন্নতি দেয়ার চিন্তাভাবনা করছি। একটি পরিকল্পনাও হাতে নেয়া হয়েছে। খুবই তারাতাড়ি পরিকল্পনাটি প্রস্তাব আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।

তিনি আরও যোগ করে বলেন, শিক্ষকদের একটি আশা দিব- তারা সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষকের পর সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পেতে পারবেন। এইভাবে তিন থেকে চারটা পদে যদি তাদের যাওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে শিক্ষকরাও অনেক বেশি কাজ কর্মে আন্তরিক হবেন এবং ভাল করবেন।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ এক বিবৃতিতে বলেন, পদোন্নতির যে ব্যাপার গুলো বলা হচ্ছে সেই গুলো আসলে একটি চলমান প্রক্রিয়া। ১৯৮৫ খ্রি. এর পর থেকে সেগুলো বন্ধ রয়েছে। এখন আবার পদোন্নতির কথা বলা হচ্ছে, সেটি নিশ্বন্দেহে অবশ্যই ভালো খবর। তবে তাদের মূল দাবি ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার ব্যাপারে জানিয়ে তিনি বলেন, সকল দাবি মানা হলেও বেতন বৈষম্য দূর না হলে কাজের কাজ কিছুই হবে না।

শিক্ষার সকল খবর পেতে Shikkhapedia.com এর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে যুক্ত থাকুন।

সবসময় রিয়েল টাইম নিউজফিড পেতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here