
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। তবে বন্যাকবলিত বিদ্যালয়গুলো বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বন্যা পরিস্থিতির পর সুবিধাজনক সময়ে এসব বিদ্যালয় খুলে দিয়ে শ্রেণি পাঠদান শুরু করতে হবে। আজ মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘যেসব বিদ্যালয় বন্যাকবলিত সেসব বিদ্যালয় খুলে দিয়ে শ্রেণি পাঠদান করার প্রয়োজন নেই। তারা পরে শ্রেণি পাঠদান শুরু করবে। অনেক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সে বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হবে। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, তারা সরাসরি বিদ্যালয়ে ক্লাস পরিচালনা করবেন না। তবে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করতে হবে।’মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, বন্যায় দেশের প্রায় ১০টি জেলা প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শিগগিরই বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। এছাড়া বন্যায় অনেক বিদ্যালয়ে পানি জমে যায়, সেসব বিদ্যালয়ে ক্লাস হবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে সেসব প্রতিষ্ঠানের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। বন্যাকবলিতদের পাশে দাঁড়াতে শিক্ষক-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে প্রায় দেড় বছরের ধরে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণী পাঠদান শুরু হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।